(১) কারক
অহং পঠামি (আমি পড়ি)। কৃষ্ণা রামায়ণং পঠতি (কৃষ্ণা রামায়ণ পড়ছে)।
প্রথম উদাহরণে 'পঠামি' ক্রিয়াটি সম্পন্ন করছে 'অহং' (পদ) শব্দটি। সুতরাং 'পঠামি' ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'অহং
(অহম্)' পদের সম্বন্ধ আছে। দ্বিতীয় উদাহরণে 'পঠতি ক্রিয়ার সম্পাদিকা কৃষ্ণা। আবার 'রামায়ণং
(রামায়ণম্)' পদটি 'পঠতি' ক্রিয়াপদের অবলম্বন। সুতরাং দেখা যায় পঠতি ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'কৃষ্ণা' এবং
'রামায়ণ' পদের সম্বন্ধ আছে। এরূপভাবে
ক্রিয়ার সাথে বাক্যের অন্যান্য যে-সব পদের অন্বয় বা সম্বন্ধ আছে তাকে কারক বলে।
এজন্য বলা হয়, “ক্রিয়ানুরি কারকম্।
কারক ছয় প্রকার- কর্তৃ, কর্ম, করণ, সম্প্রদান, অপাদান ও অধিকরণ।
(ক) কর্তৃকারক
যে কোন কার্য সম্পাদন করে, তাকে কর্তৃকারক বলে। যেমন- মহেশঃ পঠতি (মহেশ পড়ছে)। বৃষ্টিঃ ভবতি
(বৃষ্টি হচ্ছে)।
কর্মকারক
যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে বলা হয় কর্মকারক। সাধারণত ক্রিয়াপদকে 'কি' বা 'কাকে'
দিয়ে প্রশ্ন করে যে-উত্তর পাওয়া যায়, তাকে কর্মকারক বলা হয়। যেমন-
গোপালঃ চন্দ্ৰং পশ্যতি (গোপাল চাঁদ দেখছে)।
পুত্রঃ মাতারম্ অপশাৎ (পুত্র মাতাকে দেখেছিল)।
(গ) করণকারক
কর্তা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে করণকারক বলা হয়। যেমন-
রজেন সঞ্চরতে রাজা (রাজা রথে বিচরণ করছেন)।
বালিকা হস্তেন গৃহাতি (বালিকাটি হাত দ্বারা গ্রহণ করছে)।
(ঘ) সম্প্রদান কারক
যাকে যত্ন অর্থাৎ অধিকার ত্যাগ করে কোন কিছু দান করা হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলে। যেমন- নিরন্নায়
অনুং দেহি (অন্নহীনকে অম্ল দাও)।
জন্মজনায় আলোকং দেহি (অন্ধজনকে আলো দাও
(ঙ) অপাদান কারক
একটি বস্তু থেকে অন্য একটি বস্তু পৃথক হওয়ার পর যে বস্তুটি স্থির থাকে, তাকে অপাদান কারক বলা
হয়। যেমন— বৃক্ষাৎ পত্রাণি পতন্তি (গাছ থেকে পাতা পড়ছে)। স প্রামাৎ আয়াতি (সে গ্রাম থেকে আসছে)।
প্রথম উদাহরণে বৃক্ষ থেকে পাতাগুলো পড়ছে, কিন্তু বৃক্ষ স্থির হয়ে আছে। দ্বিতীয় উদাহরণে সে গ্রাম থেকে
সরে এসেছে, কিন্তু গ্রাম স্থির হয়ে আছে। সুতরাং 'বৃক্ষ' ও 'গ্রাম' অপাদান কারক।
(চ) অধিকরণ কারক
যে-সময়ে, যে-স্থানে বা যে-বিষয়ে ক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাকে অধিকরণ কারক বলে। যেমন-
সময় – বর্ষাসু বৃষ্টিঃ ভবতি (বর্ষায় বৃষ্টি হয়)।
বসন্তে কোকিলঃ কৃজতি (বসন্তে কোকিল ডাকে)।
স্থান- বনে বাঘ্রোঃ নিবসস্তি (বনে বাঘ বাস করে)।
আকাশে চন্দ্রঃ উদেতি (আকাশে চাঁদ উঠছে)।
বিষয়- - স ব্যাকরণে পণ্ডিতঃ (তিনি ব্যাকরণে পণ্ডিত)।
সঙ্গীতে নিপুণা লীলা (লীলা সঙ্গীতে নিপুণ)।
বিভক্তি (শব্দবিভক্তি)
শব্দবিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম পদ গঠন করে। শব্দবিভক্তি সাত প্রকার-
প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী ও সপ্তমী।
(ক) প্রথমা বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ
যা ধাতু নয়, প্রত্যয়ও নয়, অথচ যার অর্থ আছে, তাকে প্রাতিপদিক বলে। প্রাতিপদিক অর্থে প্রথমা
বিভক্তি হয়। যেমন- বৃক্ষঃ, জলমু, নদী, পুষ্পম্ ইত্যাদি।
কর্তৃবাচ্যে কর্তৃকারকে প্রথমা বিভক্তি হয়। যেমন- নদী প্রবহতি (নদী প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রাহ্মণঃ
পূজয়তি (ব্রাহ্মণ পূজা করছেন)।
10
অব্যয় শব্দের যোগে প্রথমা বিভক্তি হয়। যেমন- বিশ্বামিত্রঃ ইতি মহর্ষিঃ আসীৎ (বিশ্বামিত্র নামে
একজন মহর্ষি ছিলেন। “বিষবৃক্ষোঽপি সংবর্ষ স্বয়ং হেতুমসাম্প্রতম্" (বিষবৃক্ষও বর্ষন করে নিজে
ছেদন করা উচিত নয়)।
81
কর্মবাচ্যে কর্মকারকে প্রথমা বিভক্তি হয়। যেমন- শিশুনা চন্দ্ৰঃ দৃশ্যতে (শিশু কর্তৃক চন্দ্ৰ দৃষ্ট হয়)।
ছাত্রেণ পুস্তকং পঠাতে (ছাত্র কৃর্তক পুস্তক পঠিত হয়)।
(খ) দ্বিতীয়া বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ
১। কর্তৃবাচ্যে কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- সজলং পিবতি (সে জল পান করছে। অহং তং
জানামি (আমি তাকে জানি)।
ক্রিয়াবিশেষণে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- বালকঃ ধীরং গচ্ছতি (বালকটি ধীরে ধীরে যাচ্ছে)।
বালিকা মধুরং গায়তি (বালিকাটি মধুর ঘরে গাইছে)।
৩। ব্যাপ্তি অর্থে কালবাচক ও পথবাচক শব্দের সঙ্গে দ্বিতীয়া হয়। যেমন- কালবাচক শব্দের সঙ্গে সঃ
মাসং ব্যাকরণং পঠতি (সে একমাস যাবৎ ব্যাকরণ পড়ছে)। পথবাচক শব্দের সঙ্গে ক্রোশং গিরিঃ-
তিষ্ঠতি (পাহাড়টি একক্রোশ পর্যন্ত অবস্থান করছে।
81
অন্তরা (মধ্যে) ও অন্তরেণ (ব্যতীত) শব্দযোগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- তাং মাং চ অন্তরা হরিঃ
তিষ্ঠতি (তোমার ও আমার মধ্যে হরি অবস্থান করছে।
শ্রম অন্তরেণ বিদ্যা ন ভবতি (শ্রম বিনা বিদ্যা হয় না)।
অভিতঃ (সম্মুখে), পরিতঃ (চারদিকে), উভয়তঃ (উভয়দিকে), নিকষা (নিকটে), সর্বতঃ
(সকল দিকে), ধিক্, বিনা, যাবৎ, প্রতি প্রভৃতি শব্দযোগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন-
গ্রামম্ন অভিতঃ নদী (গ্রামের সম্মুখে নদী)।
গৃহং পরিতঃ উদ্যানানি (ঘরের চারদিকে বাগান)।
গ্রামস্ উভয়তঃ বনম্ (গ্রামের উভয় দিকে বন) ।
নগরং নিকষা নদী প্রবহতি (শহরের নিকট দিয়ে নদী প্রবাহিত হচ্ছে)।
উদ্যানং সর্বতঃ পুষ্পানি (বাগানের সর্বত্র পুষ্প)
দেশদ্রোহিণং ধিক (দেশদ্রোহীকে ধিক্)।
দুঃখ বিনা সুখং ন ভবতি (দুঃখ বিনা সুখ হয় না)।
নদী যাবৎ পন্থাঃ (নদী পর্যন্ত পথ)।
দীনং প্রতি দয়াং কুরু (দরিদ্রের প্রতি দয়া কর)।
(গ) তৃতীয়া বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ
করণকারকে প্রধানত তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- বরং লেখন্যা লিখামঃ (আমরা কলম দিয়ে লিখি)।
অহং হস্তেন গৃহামি (আমি হাত দিয়ে গ্রহণ করছি)।
সহ, সার্থ্য, সময়, প্রভৃতি সহার্থক শব্দযোগে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- পিতা পুত্রোণ সহ গচ্ছতি
(পিতা পুত্রের সঙ্গে যাচ্ছেন)। কেনাপি (কেন + অপি) সার্বং কলহং ন কুর্যাৎ (কারো সঙ্গে বিবাদ করা
উচিত নয়)। গুরুঃ শিষ্যেণ সহ গচ্ছতি (গুরু শিষ্যের সঙ্গে যাচ্ছেন)।
ঊন, হীন, শূন্য, রহিত, অলম্ ও প্রয়োজনার্থক শব্দযোগে তৃতীয়া বিভক্তি হয় । যেমন—
একেন উনঃ (এক কম)। ধর্মেণ হীনঃ (ধর্মহীন)। ধনেন শূন্যঃ (ধনশূন্য)। বিবেকেন রহিতঃ
(বিবেকহীন)। বিবাদেন অলম্ ( বিবাদের প্রয়োজন নেই)। মম ধনেন প্রয়োজনম্ অস্তি (আমার ধনের
প্রয়োজন আছে।
81
যে-অঙ্গের বিকারকশত অঙ্গীর পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, সেই অঙ্গে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন-
চক্ষুষা কাণঃ (সে কানা)। পাদেন খঞ্জঃ বালকঃ (বালকটির পা খোঁড়া)।
৫।
যে-লক্ষণ অর্থাৎ চিহ্ন দ্বারা কোনও ব্যক্তি সূচিত হয়, সেই লক্ষণবোধক শব্দের সঙ্গে তৃতীয়া বিভক্তি
হয়। যেমন- পুস্তকেন ছাত্রং জানামি (পুস্তকের দ্বারা ছাত্রকে বুঝতে পারি)। জটাভিঃ তাপসম
জানামি (জটাসমূহের দ্বারা তপসীকে বুঝতে পারি)।
৬।
হেতু অর্থে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- ময়ূরঃ হর্ষেণ নৃত্যতি (ময়ূর আনন্দে নাচছে)। বৃদ্ধা শোকে
রোদিভি (বৃদ্ধা শোকে কাঁদছেন)।
(ঘ) চতুর্থী বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ
সম্প্রদান কারকে প্রধানত চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- তৃষ্ণার্তায় জলং দেহি (তৃষ্ণার্তকে জল দাও)।
বাহীনায় বরং দেহি (বসত্রহীনকে বস দাও)।
তাদর্ঘ্যে অর্থাৎ নিমিত্তার্থে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- দানায় ধনম্ (দানের জন্য ধন)। অশ্বায় ঘাস
(গোড়ার জন্য ঘাস)।
হিত, সুখ ও নমস্ শব্দযোগে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- ব্রাহ্মণায় হিতম্ (ব্রাহ্মণের হিত)। সুখং শিষ্যায়
(শিষ্যের সুখ)। রামকৃষ্ণায় নমঃ (রামকৃষ্ণকে নমস্কার)।
(ঙ) পঞ্চমী বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ
اد
অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যেমন- আরোহী অশ্বাৎ পদ্ধতি (আরোহী ঘোড়া থেকে পড়ে
যাচ্ছে)। মেঘাৎ বৃষ্টিঃ ভবতি (মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়)।
দুয়ের মধ্যে একের উৎকর্ষ বোঝাতে নিকৃষ্টের উত্তর পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যেমন- খনাৎ বিদ্যা গরীয়সী
(ধন থেকে বিদ্যা বড়)। পিতৃঃ গরীয়সী মাতা (পিতা থেকে মাতা বড়)।
হেতু অর্থে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যেমন- শীতাৎ কম্পতে বৃদ্ধঃ (বৃদ্ধ শীতে কাঁপছেন)। শোকাৎ ক্রন্দতি
মাতা (মা শোকে কাঁদছেন)।
হেতু অর্থে তৃতীয়া বিভক্তিও হয়। যেমন- শীতেন কম্পতে বৃদ্ধঃ (বৃদ্ধ শীতে কাঁপছেন)।
81
'বহিস্' ও 'প্রভৃতি' শব্দ যোগে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যেমন- স গ্রামাৎ বহিঃ গচ্ছতি (সে গ্রামের বাইরে
যাচ্ছে)। শৈশবাৎ প্রভৃতি স কৃষ্ণভক্তঃ (শৈশব থেকে সে কৃষ্ণভক্ত)।
(চ) ষষ্ঠী বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ
اد
সম্বন্ধ পদে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যেমন- মম জননী দয়াবতী (আমার জননী দয়াশীলা)। নৃপস্য পুত্রঃ মূর্খঃ
(রাজার পুত্র মূর্খ)।
তৃপ্ ধাতুর যোগে বিকল্পে করণে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যেমন- ন অগ্নিঃ ভূপাতি কাঠানাম্ /কাষ্ঠে (অগ্নি
কাষ্ঠসমূহের দ্বারা তৃপ্ত হয় না)।
অনাদর বোঝালে যাকে অনাদর করা হয়, তাতে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যেমন- রুদতঃ শিশোঃ মাতা অগচ্ছত
(মাতা ক্রন্দনরত শিশুকে ফেলে চলে গেলেন)।
81
জাতি, গুণ, ক্রিয়া বা সংজ্ঞা দ্বারা সমুদয় থেকে একের পৃথকীকরণকে বলা হয় নির্ধারণ। নির্ধারণে ষষ্ঠী
বিভক্তি হয় । যেমন- কবীনাং কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ (কবিদের মধ্যে কালিদাস শ্রেষ্ঠ)। বীরাণাং কর্ণঃ শ্রেষ্ঠঃ
(বীরদের মধ্যে কর্ণ শ্রেষ্ঠ)।
(ছ) সপ্তমী বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ
اد
অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন- গগনে উদেতি ডানুঃ (সূর্য আকাশে উদিত হচ্ছে)। বসন্তে
পিকঃ কৃজতি (বসন্তে কোকিল ডাকে)। স কাব্যে নিপুণঃ (তিনি কাব্যে নিপুণ)।
অনাদরে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন- রুদতি পুত্রে পিতা অপচ্ছৎ (পিতা রোদনরত শিশুকে ফেলে চলে
গেলেন)।
নির্ধারণে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন- ধীরেষু ভীষ্মঃ শ্রেষ্ঠন (ধীরদের মধ্যে ভীষ্ম শ্রেষ্ঠ)। ছাত্রেষু বিপুলঃ
উত্তমঃ (ছাত্রদের মধ্যে বিপুল উত্তম)
81
যার ক্রিয়ার কাল দ্বারা অন্য কোন কাজের কাল স্থির করা হয়, তার সঙ্গে সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত হয়।
একে ভাবে সপ্তমী বলে। যেমন-
সূর্যে উদিতে পদ্মং প্রকাশতে (সূর্য উদিত হলে পদ্ম প্রকাশিত হয়)।
চন্দ্রে উদিতে কুমুদিনী বিকশতি (চন্দ্র উদিত হলে কুমুদ বিকশিত হয়)।
৫।
নিপুণ, উৎসুক, সাধু প্রভৃতি শব্দযোগে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন—
বিজয়ঃ সঙ্গীতে নিপুণঃ (বিজয় সঙ্গীতে পারদর্শী)।
কমলঃ ব্যাকরণে সাধুঃ (কমল ব্যাকরণে পারদর্শী)।
প্রশ্নমালা
সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :
(ক) যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্ম/অপাদান অধিকরণ/করণ কারক বলে।
(খ) যে বস্তু দান করা হয়, তাকে সম্প্রদান/কর্ম/অপাদান অধিকরণ কারক বলে।
(ঘ) 'অন্তরেণ' শব্দযোগে হয় ৪র্থী / ৫মী/৬৪/২য়া বিভক্তি ।
(ছ) তৃপ্ ধাতুর যোগে বিকল্পে করণে হয় ৫মী / ১ মা/ ৭মী/৬ষ্ঠী বিভক্তি।
(গ) যাকে দান করা হয়, তাকে বলা হয় সম্প্রদান/অপাদান অধিকরণ/করণ কারক।
(ঙ) 'ঋতে' শব্দযোগে হয় ৪র্থী/ ৫মী/৬৪/৭মী বিভক্তি।
(চ) 'নিপুণ' শব্দযোগে হয় ২য় / ৪র্থী / ৭মী/ ৫মী বিভক্তি।
বাক্য রচনা কর :
ইতি, চ, ধিক্, পরিতঃ, নিকষা, প্রতি, উভয়তঃ ।
01
উদাহরণ দাও:
অব্যয়যোগে ১মা, নির্ধারণে ৬ষ্ঠী, ভাবে ৭মী, অনাদরে ৬ষ্ঠী, কালাধিকরণে ৭মী, ব্যান্ডার্থে হয়া,
তাদর্ঘ্যে ৪র্থী, অপেক্ষার্থে ৫মী।
81
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
'অলম্' শব্দযোগে কোন্ বিভক্তি হয়?
(খ) 'ক্রিয়ানুষি কারকম্' বলতে কি বোঝ?
(গ) 'যাবৎ' শব্দযোগে কোন্ বিভক্তি হয়?
(খ) সম্প্রদান কারকে কোন্ বিভক্তি হয়?
(ঙ) নমস্ (নমঃ) শব্দযোগে কোন বিভক্তি হয়?
(চ) অপেক্ষার্থে কোন্ বিভক্তি হয়।
বাংলায় অনুবাদ কর :
(ক) অহং তং জানামি। (খ) শ্রম অন্তরেণ বিদ্যা ন ভবতি। (গ) বয়ং লেখন্যা লিখামঃ। (ঘ) পুস্তকে ছাড়াং
জানামি।) (ঙ) পিতৃঃ গরীয়সী মাতা। (চ) জ্ঞানাৎ ঋতে সুখং নাস্তি ।
৬। সংস্কৃতে অনুবাদ কর :
(ক) বৃদ্ধ শীতে কাঁপছেন। (খ) বীরদের মধ্যে ভীষ্ম শ্রেষ্ঠ। (গ) আকাশে চাঁদ উঠছে। (ঘ) বিজয় সঙ্গীতে
নিপুণ। (ঙ) শৈশব থেকে সে কৃষ্ণভক্ত। (চ) সে গ্রামের বাইরে যাচ্ছে। (ছ) তৃষ্ণার্তকে জল দাও।
রেখাঙ্ক্ষিত পদসমূহের কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর :
(ক) সঃ মাসং ব্যাকরণং পঠতি। (খ) পিতা পুত্রেণ সহ গচ্ছতি। (গ) পাদেন খঞ্জঃ বালকঃ । (ঘ) জটাভিঃ তাপসং
জানামি (ঙ) মেঘাৎ বৃষ্টিঃ ভরতি। (চ) শীতাৎ কম্পতে বৃদ্ধা। (ছ) ন অগ্নিঃ ভূপাতি কাঠানাম্ । (জ) কবিষ্ণু
কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ ।
১৮। উদাহরণসহ পঞ্চমী বিভক্তি প্রয়োগের তিনটি ক্ষেত্র উল্লেখ কর।
সাধারণত কোন্ কোন্ সম্বলে চতুর্থী বিভক্তি হয়। প্রতিস্থল একটি করে উদারহণ দাও ।
১০। দ্বিতীয়া বিভক্তি প্রয়োগের তিনটি ক্ষেত্র উল্লেখ কর এবং প্রতিক্ষেত্রে উদাহরণ দাও।
১১। অধিকরণ কারক কাকে বলে? উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা কর।
১২। অপাদান কারক কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও ।
১৩। কারক কয় প্রকার ও কি কি? প্রত্যেক প্রকারের একটি করে উদাহরণ দাও ।
১৪। কারক কাকে বলে? উদাহরণ দ্বারা বুঝিয়ে দাও।
१
কর্তায় শূন্য
কর্মে ৭মী
কর্মে ২য়া
কর্মে শূন্য
Read more